children-with-disabilty
১০ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৭
২ এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০টা ওসমানি মিলনায়তন, পল্টন, ঢাকা
গত ২ এপ্রিল, ২০১৭ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে এবারো ‘১০ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও ব্রশিওর প্রকাশ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় বরাবরের মত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউণ্ডেশন, সমাজসেবা অধিদফতর, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম দিবসের সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে। জাতিসংঘ কর্তৃক এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’ (Toward Autonomy and Self Determination)। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ আগমনের পর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠিনকতা শুরু হয়। চার ধর্মালম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ পাঠের পর স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ জিল্লার রহমান। এরপর বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কৃত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম এমপি। এরপর সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অটিজম সম্পন্ন সফল ব্যক্তি, অটিজম উত্তরণে সফল সমাজকর্মী এবং অটিজম উত্তরণে অবদান রাখা সফল প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করেন এবং ফটোসেশন করেন।এরপর তিনি নীল বাতি প্রজ্বালন করেন এবং তার মুল্যবান বক্তব্য প্রদান ও দিবসের শূভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আগত অতিথিবৃন্দ অটিজম বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র ও অটিস্টিক বন্ধুদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
যে ৯জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছেন তারা হলেন:
অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সফল ব্যক্তি-০৩ (তিন) জন
১. আদিবা ইবনাত পশলা
২. আদিল মুনিম সাইফুল হক
৩. চৌধুরী গালিব আজিজ অনিন্দ্য,
অটিজম উত্তরণে অবদান রাখা সফল সমাজ কর্মী০৩(তিন) জন
১. ডাঃ রওনাক হাফিজ,
২. বেগম মারুফা হোসেন,
৩. কর্ণেল মোঃ শহীদুল আলম,
অটিজম উত্তরণে অবদান রাখা সফল প্রতিষ্ঠান ০৩(তিন)টি
১. সুইড বাংলাদেশ,
২. প্রজেক্ট ডাইরেক্টর,ইনষ্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজওর্ডার এন্ড অর্টিজম (ইপনা), বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা।
৩. ফাউন্ডেশন ফর অর্টিজম রিসার্চ এন্ড এডুকেশন(এফএআরই),
জাতীয় কর্মপরিকল্পনা(খসড়া) প্রণয়ন কর্মশালা
২৭ – ২৮ মার্চ ২০১৭ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত “আপন উদ্যোগ ফাউণ্ডেশন” লালমাটিয়া, ঢাকা
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ইতোপূর্বে তৈরীকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর কর্মপরিকল্পনাটি অধিক সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং নিউরো ডেভেলাপমেন্টাল সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩, এসডিজি, সপ্তম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা ইনচিওন স্ট্রাটিজি প্রভৃতি দলিলসমূহের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯ অক্টোবর, ২০১৬ অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের আইন ও নীতিমালা বিষয়ক কমিটির ৪৫ তম সভায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (খসড়া) তৈরীতে প্রাথমিক ভাবে কর্মদলের সদস্যগনের নাম প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বিগত ০১ মার্চ, ২০১৭ তারিখে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামকে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (খসড়া) প্রণয়নের জন্য পত্র প্রেরণ করে। কর্মদলটি কয়েকটি সভা করে। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম গত ২৭ – ২৮ মার্চ ২০১৭ সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুইদিন ব্যাপী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা(খসড়া) প্রণয়ন কর্মশালা “আপন উদ্যোগ ফাউণ্ডেশন” (বাড়ি-৮/১৪, ব্লক-সি, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭, মিনার মসজিদের বিপরীত দিকে) আয়োজন করে। কর্মশালায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (খসড়া) প্রণয়ন বিষয়ক কর্মদলের সদস্যগণ ছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি, মহাসচিব ও জাতীয় নির্বাহী সদস্যগণের মধ্যে প্রতিবন্ধী সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
৪র্থ জাতীয় ও ১২তম বিশ্ব ডাউনসিনড্রোম দিবস-২০১৭
২১শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০টা সমাজসেবা অধিদফতর
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে গত ২১শে মার্চ ২০১৭, ৪র্থ জাতীয় ও ১২তম বিশ্ব ডাউনসিনড্রোম দিবস–২০১৭ উদযাপনের অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় সমাজসেবা অধিদফতরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানগুলো হলো: চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা (ডাউন সিনড্রোম শিশুদের অংশগ্রহণ), রেলী, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের প্রতিপাদ্য– “আমাদের কন্ঠস্বর আমাদের সমাজে সরকারের সকল কাজে ডাউন সিনড্রোমেকে রাখবে পাশে”।
সকাল ১০:০০ টায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ জিল্লার রহমান। বেলা ১১:০০টায় রেলীর নেতৃত্ব ও ১২:০০টায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডাউনসিন্ড্রোম এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডাঃ অজন্তা রাণী সাহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব ড সেলিনা আখতার। ডাউনসিন্ড্রোম বিষয়ক আলোচনা করেন বাংলাদেশ ডাউনসিন্ড্রোম এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেনবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় পরিচালিত ইপনার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ শাহীন আখতার। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজকল্যাণ মনস্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সুশান্ত কুমার প্রামানিক। সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ জনাব এ কে এম খায়রুল আলম। এরপর ডাউন্সচিলড্রেনদের অংশগ্রহণে সাংস্কতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানমালায় জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সদস্য সংগঠনের প্রতিবন্ধী শিশুরা, অভিভাবক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ, সরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্যবিনিময়ে জাতীয় সেমিনার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ), ঢাকা
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ), ঢাকাতে ‘নিম্ন আয়ের পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্য বিনিময় সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের উদ্দেশ্য হলো- সম্প্রতি প্রতিবন্ধী শিশু যারা পথঘাটে, বস্তিতে ও বাড়িতে বসবাস করে তাদের অরক্ষিত অবস্থা নিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ একটি গবেষণা করেছে। এই গবেষণাপত্রের তথ্যসমূহ তথা পথ শিশু, বস্তিবাসি শিশু ও বাড়িতে বসবাসকারি শিশুরা তাদের জীবন যাপনে যে অরক্ষিত অবস্থার শিকার হয় তা সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপকক্ষ, বেসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধী শিশুদের যতœদানকারি ও অভিভাবকদের নজরে আনা ও অরক্ষিত অবস্থা উত্তরণের জন্য তাদেরকে উদ্যোগী করা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন জনাব মোঃ জিল্লার রহমান, সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত সচিব (প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধিতা), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, খোন্দকার মোস্তান হোসেন, যুগ্ম সচিব (রপ্তানীমুখী শিল্প ও আইন), শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনাব জুলফিকার হায়দার, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান), সমাজসেবা অধিদফতর। প্রধান অতিথি বক্তব্যের শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে প্রশ্ন/মতামত আহ্বান করেন। তার প্রেক্ষিতে অংশগ্রহণকারীগণ জানান যে, চলাচলের রাস্তা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী নয়, মার্কেটগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশগম্য নয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলে ও মেয়েদের একই হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয় যার ফলে নানা দুর্ঘটনা ঘটে, পিএইচটিসি কে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত করা ও স্টাফদের সেবামান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, স্টাফ ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, একইভূত শিক্ষা বাস্তবায়ন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের জেলা ও উপজেলা কমিটি সক্রিয় করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় বাড়ানো, মিডিয়াতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সক্ষমতা নিয়ে প্রচার প্ররাচরণা চালানো।
প্রধান অতিথি বিষয়গুলোর উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আর্থিক কালচারের উপর সংস্কৃতি নির্ভর করে। প্রতিবন্ধিতার জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। এ খরচের সংস্থান আমাদের করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে সেবা বাসায় দিয়ে আসা হয়। আমাদেরও সে চর্চা শুরু করতে হবে। প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধী শিশুরা একসাথে পড়াশোনা করবে। বিশেষ অতিথি জনাব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বর্তমান সরকারকে প্রতিবন্ধী বান্ধব সরকার উল্লেখ করে বলেন তাদের মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে; এ পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ৯ হাজার ৮১৬ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে যেখানে তাদের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। তাদের চাহিদা মোতাবেক সরকার সহায়তা দিয়ে যাবে। বিশেষ অতিথি জনাব খোন্দকার মোস্তান হোসেন জানান শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নীচে কোনো শিশুকে কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। ১৪-১৮ বৎসরের শিশুকে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দেওয়া যাবে না। অরক্ষিত শিশুদের ঝুঁকি মোকাবেলায় সামাজিক সচেতনতার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথি জনাব জুলফিকার হায়দার জানান সমাজসেবা অধিদফতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের পরিসংখ্যান নেই সেটা আমরা বলতে পারি না। সমাজসেবা অধিদফতর প্রতিবন্ধী শিশুদের আবাসিক শিক্ষা, সমন্বিত শিক্ষা, শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি প্রদান করে তাদের অরক্ষিত অবস্থা নিরসনে কাজ করছে। জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি ও সেমিনারের সভাপতি জনাব রজব আলি খান নজিব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রতিবন্ধী মানুষের মোর্চা হিসেবে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামকে সম্পৃক্ত করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধী শিশুদের ঝুঁকির বিষয়গুলো তুলে আনার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহসাসচিব ড. সেলিনা আখতার প্রতিবন্ধী শিশুদের এ অরক্ষিত অবস্থার উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেন তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীদের সুপারিশমালা:
- আবাসিক প্রতিষ্ঠানের পদগুলো বদলীযোগ্য বলে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় প্রায়ই সমস্যা হয়। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের মোকাবেলা বিষয়ে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
- গবেষণায় পথ শিশুদের সংখ্যা কম এসেছে, এদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
- বিদ্যালয়ে ও কর্মস্থলে শিশুদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়, এতে করে শিশুরা পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির কাজ করতে হবে।
- বাবা, মায়েরা প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি করে সেক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ববোধ তৈরির জন্য কাজ করতে হবে।
- গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের ঝুঁকির বিষয়গুলো বেশি করে প্রচার করতে হবে।
- জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ঝুঁকির বিষয়গুলো অন্তর্ভক্ত হতে হবে।
- গবেষণা কার্যক্রম যেখানে দারিদ্র বেশি, যোগাযোগ ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ, নদী ভাঙ্গন রয়েছে ইত্যাদি এলাকায় করতে হবে।
সেমিনারে ৭৫জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন যারা সকারি কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধিতা নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রতিবন্ধী শিশুদের আবাসিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রতিবন্ধী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।
আবাসিক প্রতিষ্ঠানে বসবাসরত প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রমিত সেবামান নিশ্চিতকরণ বিষয়ক আলোচনা সভা (খুলনা)
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০টা স্কুল হেল্থ ক্লিনিক এর সম্মেলন কক্ষ, খুলনা
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে ৭-১০ মিলিয়ন শিশু রয়েছে যারা কোনোনা কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। দেশের বহুসংখ্যক প্রতিবন্ধী শিশু অবহেলিত এবং তারা রাস্তায় ও বস্তিতে বসবাস করছে। আবার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আবাসিক প্রতিষ্ঠানে অনেক প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী শিশুরা বসবাস করছে। কিন্তু এসব আসাবিক প্রতিষ্ঠানে বসবাসরত শিশুরা এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুরাও নানা রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আবাসিক প্রতিষ্ঠানে বসবাসরত প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রমিত সেবামান নিশ্চিতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা (রাজশাহী)
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০টা সভাকক্ষ, নান কিং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, রাজশাহী
বাংলাদেশে অপ্রতিবন্ধী শিশুদের চেয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের উপর সহিংসতা, নির্যাতন, অবহেলা ও শোষণের মাত্রা প্রায় চার গুণ। পরিবার, সমাজ এবং কর্মস্থলের বৈষম্য হলো প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের মূলক্ষেত্র। আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে ৭-১০ মিলিয়ন শিশু রয়েছে যারা কোন না কোন ভাবে প্রতিবন্ধী এবং এই শিশুদের জন্য উপযুক্ত কোন নীতিমালা নেই।
নিম্ন আয়ের পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা শীর্ষক গবেষণার তথ্য বিনিময় সেমিনার
১৫ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০টা হোটেল নির্ভানা ইন, মির্জাজাঙ্গাল, সিলেট
অপ্রতিবন্ধী শিশুদের চেয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের উপর সহিংসতা, নির্যাতন, অবহেলা ও শোষণের মাত্রা প্রায় চার গুণ। পরিবার, সমাজ এবং কর্মস্থলের বৈষম্য হলো প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের মূলক্ষেত্র। বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক ও সংস্কৃতিগত ধারণা এবং চর্চাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই নাজুক পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ৭-১০ মিলিয়ন শিশু রয়েছে যাদের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। দেশের বহুসংখ্যক প্রতিবন্ধী শিশু অবহেলিত এবং তারা রাস্তায় ও বস্তিতে বসবাস করছে। এই শিশুদের জন্য উপযুক্ত কোন নীতিমালা নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত সেভ দ্য চিলড্রেন এর ইনক্লুসিভ প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যামপাওয়ারমেন্ট প্রজেক্ট ফর চিলড্রেন উইথ ডিস্অ্যাবিলিটিস ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিবন্ধী পথ শিশু, বস্তিবাসী শিশু ও সাধারণ বাড়িতে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রতিবন্ধিতার কারণে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আর এই বৈষম্যগুলো উত্থিত হয় প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বোধগম্যতা ও জ্ঞানের অভাবে, ভিন্নতার ভয়ের কারণে, রোগ সংক্রমণ ও দূষণের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে, ধর্মীয় নেতিবাচক প্রভাব থাকার কারণে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। কিছু বিষয় যেমন-দারিদ্র, সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ, কুসংস্কার, কলঙ্ক, সেবায় প্রবেশাধিকারের অভাব, অনুপযোগী পরিবেশ বিষয়টিকে অধিকতর খারাপ করে।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম এবং গ্রীন ডিজঅ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ) এর যৗথ উদ্যোগে এসব নিশ্ন আয়ের পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ সিলেটস্থ নির্ভানা ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) জনাব মৃনাল কান্তি দেব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাইক শেয়ার, উন্নয়ন কর্মী, সিলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সিলেট, জনাব নিবাস রঞ্জন দাস, উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট। জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি জনাব মোহা. রজব আলী খান নজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং ডিসঅ্যাবল্ড কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিকেফ) এর মহাসচিব জনাব জ্ঞানেন্দ্র ধর রুমু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সমন্বয়কারী (কর্মসূচি) জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন।
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত এবং অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতির মাধ্যমে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীগণ নিম্নোক্ত সুপারিশমালা প্রদান করেন:
-প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গহণ করতে হবে।
-প্রতিবন্ধী শিশুদের তাদের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
-সমাজসেবা কার্যালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্যাতিত প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
-প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। যাতে তারা নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে পারে।
-প্রচার মাধ্যম নিউজপেপার, টিভি ইত্যাদির মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্যবিনিময়ে জাতীয় সেমিনার-বরিশাল
৫ জানুয়ারি, ২০১৭, বরিশাল
সহযোগিতায়: সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ (আইপিইপি প্রকল্প)
প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্যবিনিময় সেমিনার ৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বরিশাল শহরের বিডিএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ নূরুল আলম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন আলহায সৈয়দ গোলাম মাহবুব, প্যানেল মেয়র, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং জনাব মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন জেলা ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ, হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের নিয়ে কর্মরত সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রতিবন্ধী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষ ও মূলধারার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র, কারখানার মালিক ও মসজিদের ইমাম। প্রধান অতিথি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সংস্থাসহ সকল নাগরিককে প্রতিবন্ধী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা প্রশমনেএগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন সকল নাগরিককের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্যাতন ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা যাবে না। বিশেষ অতিথিদ্বয় প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্যাতন মোকাবেলায় তাদের কাজের পরিধি সম্প্রসারণের আশ্বাস দেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব ইসহাক আলী মিজান, নির্বাহী পরিচালক, ইয়েস বাংলাদেশ, বরিশাল ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধি। তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে ইয়েস বাংলাদেশ ও ফোরাম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। সেমিনারে
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সমন্বয়কারী (প্রোগ্রামস) জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় বস্তিবাসী শিশু, পথশিশু ও বাড়িতে বসবাসকারী শিশুদের নির্যাতনের চিত্র চলে আসে। এতে প্রতিবন্ধী শিশুদের যত্নদানকারী ও অভিভাবকদের যত্ন ও লালনপালনে অবহেলার চিত্রও পাওয়া যায়। অংশগ্রহণকারীগণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত/ঝুকিপূর্ণ অবস্থা নিরসনের জন্য বাড়িতে, বিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, চলাফেরার রাস্তাঘাটে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেন। যত্নদানকারীদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিবন্ধী শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার শিকার হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। অনেক শিশু কারখানায়, হোটেল, রেস্তোরায় কাজ করে যা তাদের জন্য উপযোগী নয়। তাদের যেখানে স্কুলে যাওয়ার কথা সেখানে তারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। অনেক শিশু বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করে যেখানে তাদেরকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় এবং অনেকক্ষেত্রে তাদের কাজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। অংশগ্রহণকারীগণ এ অবস্থার উন্নয়নের জন্য সামাজিক সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সচেতনতা সরকারি ও বেসরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায় তথা সকল দিক থেকে হতে হবে এবং এ সচেতনতার মাধ্যমেই প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ও বরিশালের স্থানীয় সংস্থা ফোরামের সদস্য সংগঠন ইয়েস বাংলাদেশ।