গনপজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ৭৪ তম ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষ থেকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং রোজ সোমবার, বিকাল ৫.০০ টায় সমাজসেবা অধিদপ্তর, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা এর মধুমতি হলে অনুষ্ঠিত হয়।
Other Events
other events of nfowd
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম বিশ^ শিশু দিবস ও বিশ^ শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ ইং উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সমাজকল্যান পরিষদ এর তহবিলের অর্থের মাধ্যমে ও এটিএন বাংলা ও ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু সহ অন্যান্য সকল প্রকার প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে “ অন্য আলোর গল্প” শিরোনামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
করোনাকালীন সময়ে ত্রান বিতরন কর্মসূচী
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম করোনাকালীন সময়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-মেইল ও সরাসরি করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরন করে। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয়গনকে চিঠি প্রদানের মাধ্যমে নিজ নিজ জেলার প্রতিবন্ধী সংগঠনকে নিয়ে নিজস্ব এলাকায় কর্মহীন সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায়।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষ থেকে ঈদ স্পেশাল অনুষ্ঠান
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সম্মানিত মহাসচিব জনাব ড. সেলিনা আখতার এর উপস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ঈদের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান “অন্য আলোর গল্প” ০৫/০৮/২০২০ইং দুপুর ২.৩০ মিনিটে এটিএন বাংলা চ্যানেলে অনুষ্ঠিতহয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যগন সহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগনের অভিভাবকবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ও অন্যান্য প্রতিবন্ধী শ্যেনীর ব্যক্তিগন। অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলা চ্যানেলের মাধ্যমে সারা দেশজুড়ে একযোগে প্রচারিত হয়।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রনয়নের কর্মদলের প্রথম সভা
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বেলা ৩:০০টা জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাকক্ষে
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণের কর্মদলের প্রথম সভায় ড. সেলিনা আক্তার, মহাসচিব, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, উপস্থিত সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কাজ শুরু করেন। অতঃপর তিনি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণে এ যাবৎকালীন সকল কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত সময়ে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, ও কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণে সরকারের সহযোগী হিসেবে কার্যক্রম সম্পাদনে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন যে, অতীতের ন্যায় এবারও সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা খসড়া প্রনয়ণে সরকারের সহযোগী হিসেবে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামকে দায়িত্ত্ব পালনের মৌখিক সম্মতি প্রদান করে। অতঃপর তিনি ডাঃ নাফিসুর রহমানকে সভাটি পরিচালনার দায়িত্ত্ব দেন। ডাঃ নাফিসুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতীয় কর্মপরিকল্পনার সর্বশেষ খসড়া প্রনয়ণে সহযোগিতার জন্য এ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন কে ধন্যবাদ জানান এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দলিল সমূহের আলোকে কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন। এরপর আলোচ্যসূচী অনুযায়ী আলোচনা শুরু হয় এবং এর প্রেক্ষিতে নিম্নে উল্লেখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহিত হয়।
আলোচ্যসূচী- ১ :
দলের কর্মপরিকল্পনা তৈরী ও দায়িত্ত্ব বন্টন
১. সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব আশরাফুন নাহার মিষ্টিকে কর্মদলের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করণের অনুমোদন হয়।
২. এ বিষয়ে অতিসত্তর সরকারের নিকট থেকে লিখিত অনুমতি সংগ্রহ করা।
৩. ১ম ধাপে জাতীয় ও আর্ন্তজার্তিক দলিলসমূহের প্রতিফলনে কর্মপরিকল্পনার প্রাথমিক কাঠামো তৈরীর লক্ষ্যে ৩ দিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা। কর্মশালার স্থান হিসেবে কুমিল্লা র্বাডকে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করা হয়।
৪. ২য় ধাপে প্রাথমিক কাঠামো তৈরীর পর এর উপর প্রতিবন্ধিতা নিয়ে কর্মরত সংগঠনসমূহের (ডিপিও) মতামত সংগ্রহের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা ।
৫. ৩য় ধাপে বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারী -বেসরকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ তথা অংশীজনের মতামত সংগ্রহের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা।
৬. ৪র্থ বা শেষ ধাপে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের আলোকে কর্মপরিকল্পনাটি সমৃদ্ধকরনের পর তা জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
আলোচ্যসূচী- ২ :
পূর্ববর্তী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (খসড়া) পর্যালোচনা
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ পরবর্তী সভার তারিখ নির্ধারন করা হয়।
আলোচ্যসূচীতে আর কোন বিষয় না থাকায় ড. সেলিনা আক্তার, মহসচিব, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নিম্ন আয়ের পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা শীর্ষক গবেষণার তথ্য বিনিময় সেমিনার
১৫ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০টা হোটেল নির্ভানা ইন, মির্জাজাঙ্গাল, সিলেট
অপ্রতিবন্ধী শিশুদের চেয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের উপর সহিংসতা, নির্যাতন, অবহেলা ও শোষণের মাত্রা প্রায় চার গুণ। পরিবার, সমাজ এবং কর্মস্থলের বৈষম্য হলো প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের মূলক্ষেত্র। বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক ও সংস্কৃতিগত ধারণা এবং চর্চাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই নাজুক পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ৭-১০ মিলিয়ন শিশু রয়েছে যাদের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। দেশের বহুসংখ্যক প্রতিবন্ধী শিশু অবহেলিত এবং তারা রাস্তায় ও বস্তিতে বসবাস করছে। এই শিশুদের জন্য উপযুক্ত কোন নীতিমালা নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত সেভ দ্য চিলড্রেন এর ইনক্লুসিভ প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যামপাওয়ারমেন্ট প্রজেক্ট ফর চিলড্রেন উইথ ডিস্অ্যাবিলিটিস ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিবন্ধী পথ শিশু, বস্তিবাসী শিশু ও সাধারণ বাড়িতে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রতিবন্ধিতার কারণে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আর এই বৈষম্যগুলো উত্থিত হয় প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বোধগম্যতা ও জ্ঞানের অভাবে, ভিন্নতার ভয়ের কারণে, রোগ সংক্রমণ ও দূষণের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে, ধর্মীয় নেতিবাচক প্রভাব থাকার কারণে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। কিছু বিষয় যেমন-দারিদ্র, সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ, কুসংস্কার, কলঙ্ক, সেবায় প্রবেশাধিকারের অভাব, অনুপযোগী পরিবেশ বিষয়টিকে অধিকতর খারাপ করে।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম এবং গ্রীন ডিজঅ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ) এর যৗথ উদ্যোগে এসব নিশ্ন আয়ের পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ সিলেটস্থ নির্ভানা ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) জনাব মৃনাল কান্তি দেব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাইক শেয়ার, উন্নয়ন কর্মী, সিলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সিলেট, জনাব নিবাস রঞ্জন দাস, উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট। জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি জনাব মোহা. রজব আলী খান নজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি এবং ডিসঅ্যাবল্ড কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিকেফ) এর মহাসচিব জনাব জ্ঞানেন্দ্র ধর রুমু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সমন্বয়কারী (কর্মসূচি) জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন।
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত এবং অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতির মাধ্যমে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীগণ নিম্নোক্ত সুপারিশমালা প্রদান করেন:
-প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গহণ করতে হবে।
-প্রতিবন্ধী শিশুদের তাদের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
-সমাজসেবা কার্যালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্যাতিত প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
-প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। যাতে তারা নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে পারে।
-প্রচার মাধ্যম নিউজপেপার, টিভি ইত্যাদির মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্যবিনিময়ে জাতীয় সেমিনার-বরিশাল
৫ জানুয়ারি, ২০১৭, বরিশাল
সহযোগিতায়: সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ (আইপিইপি প্রকল্প)
প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত অবস্থা বিষয়ক গবেষণার তথ্যবিনিময় সেমিনার ৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বরিশাল শহরের বিডিএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ নূরুল আলম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন আলহায সৈয়দ গোলাম মাহবুব, প্যানেল মেয়র, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং জনাব মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন জেলা ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ, হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের নিয়ে কর্মরত সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রতিবন্ধী শিশু, প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষ ও মূলধারার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র, কারখানার মালিক ও মসজিদের ইমাম। প্রধান অতিথি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সংস্থাসহ সকল নাগরিককে প্রতিবন্ধী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা প্রশমনেএগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন সকল নাগরিককের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্যাতন ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা যাবে না। বিশেষ অতিথিদ্বয় প্রতিবন্ধী শিশুদের নির্যাতন মোকাবেলায় তাদের কাজের পরিধি সম্প্রসারণের আশ্বাস দেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব ইসহাক আলী মিজান, নির্বাহী পরিচালক, ইয়েস বাংলাদেশ, বরিশাল ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধি। তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে ইয়েস বাংলাদেশ ও ফোরাম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। সেমিনারে
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সমন্বয়কারী (প্রোগ্রামস) জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় বস্তিবাসী শিশু, পথশিশু ও বাড়িতে বসবাসকারী শিশুদের নির্যাতনের চিত্র চলে আসে। এতে প্রতিবন্ধী শিশুদের যত্নদানকারী ও অভিভাবকদের যত্ন ও লালনপালনে অবহেলার চিত্রও পাওয়া যায়। অংশগ্রহণকারীগণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অরক্ষিত/ঝুকিপূর্ণ অবস্থা নিরসনের জন্য বাড়িতে, বিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, চলাফেরার রাস্তাঘাটে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেন। যত্নদানকারীদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিবন্ধী শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার শিকার হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। অনেক শিশু কারখানায়, হোটেল, রেস্তোরায় কাজ করে যা তাদের জন্য উপযোগী নয়। তাদের যেখানে স্কুলে যাওয়ার কথা সেখানে তারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। অনেক শিশু বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করে যেখানে তাদেরকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় এবং অনেকক্ষেত্রে তাদের কাজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। অংশগ্রহণকারীগণ এ অবস্থার উন্নয়নের জন্য সামাজিক সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সচেতনতা সরকারি ও বেসরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায় তথা সকল দিক থেকে হতে হবে এবং এ সচেতনতার মাধ্যমেই প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ও বরিশালের স্থানীয় সংস্থা ফোরামের সদস্য সংগঠন ইয়েস বাংলাদেশ।